এ বছরই ফাইভজি যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ?

Monday, September 27 2021
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার


২০১৮ সাল থেকেই ফাইভজি প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। তিনি বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় ফাইভ জি প্রযুক্তির নীতিমালা প্রণয়ন ও এর সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য প্রযুক্তি সহ বিভিন্ন বিষয়ে বহুপাক্ষিক আলোচনা ও বিচার বিশ্লেষণ শেষে ফাইভজি যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রাথমিকভাবে দেশের পাঁচটি অর্থনৈতিক জোনে ফাইভ জি সংযোগ প্রদানের লক্ষ্যে বিটিসিএল প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে বলে জানান তিনি।

মোস্তফা জব্বার ফাইভজি প্রযুক্তি চালুর প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, সকল অংশীজনকে সাথে নিয়েই ফাইভ জি চালুর উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। ফাইভ জি বর্তমানে এমন এক শিল্প পণ্য, যা আগামী দিনের প্রযুক্তি এআই, রোবটিক্স, আইওটি, বিগডাটা, কিংবা ব্লক চেন যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার পাশাপাশি শিল্প প্রতিষ্ঠানে, বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এমনকি মৎস্য ও কৃষির জন্যও অপরিহার্য। এই প্রযুক্তি শুধু চতুর্থ শিল্প বিপ্লব কিংবা সোসাইটি ফাইভ পয়েন্ট জিরোতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না বলে জানান তিনি।

‘টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘ফাইভ-জি ইকোসিস্টেম ইন বাংলাদেশ এন্ড আপকামিং টেকনোলজিস’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে মন্ত্রী বলেন, ফাইভ জি প্রযুক্তির উদ্দেশ্য হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের সকল জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার ভিত্তি হিসেবে প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো। উক্ত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাহাব উদ্দীন, গ্রামীণ ফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, টিআরএনবির সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে সহ অনেকে।
share on