বাংলাদেশের তৈরি সফটওয়্যার বিশ্বের ৬০টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে: রাষ্ট্রপতি
Thursday, December 10 2020Image Credit: BSS
ফ্রিল্যান্সিং পেশায় পুরুষের পাশাপাশি নারীদের অধিকতর অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি গতকাল রাজধানী আগারগাঁয়ে তিন দিন ব্যাপী ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০২০’ এর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বঙ্গভবন থেকে ভিডিও রেকর্ডকৃত ভাষণে এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘ফ্রিল্যান্সিং পেশায় পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও যাতে সমানতালে এগিয়ে যেতে পারে সে ব্যাপারেও উদ্যোগী হতে হবে। এর পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নিয়মিত গবেষণা ও মৌলিক জ্ঞান সৃষ্টিতে আমাদের আরও মনোযোগী হতে হবে।’
Ad
তরুণ প্রজন্মকে স্বাবলম্বী করার ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমানে অন্যান্য খাতে চাকুরির সুযোগ কমে এলেও ফ্রিল্যান্সিং এর কারণে অসংখ্য তরুণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। বর্তমানে দেশে সাড়ে ৬ লক্ষ সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার রয়েছে।
তিনি বলেন, ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের মূল্য হ্রাস, অবকাঠামো সৃষ্টি এবং সর্বোপরি বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে গত কয়েক বছরে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে এক যুগান্তকারী বিপ্লব ঘটেছে। আগে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের মূল্য ছিল ৭৮ হাজার টাকা, এখন প্রতি এমবিপিএস এর মূল্য ৩শ টাকার নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
দেশে ২০০৯ সালের আগে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ১০ লাখ, বর্তমানে সেই সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সারাদেশে ফাইবার অপটিক ক্যাবলের মাধ্যমে ৩৪০০ ইউনিয়নে ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও ই-কমার্সের মাধ্যমে ঘরে বসে কেনা-বেচা করা, অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম, ভার্চুয়াল কোর্টের মাধ্যমে বিচারিক কার্যক্রম, টেলি মেডিসিন সেবাসহ বিভিন্ন অনলাইন সেবা এ কঠিন সময়ে জীবনযাত্রাকে অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে। অফিস-আদালতে চালুকৃত ই-নথি ব্যবস্থা সরকারি প্রতিষ্ঠানের সেবা কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধি করেছে। এতে সরকারি সেবা কার্যক্রম চালু রাখা এবং নাগরিকের কাছে সেবা পৌঁছানো সহজ হয়েছে।
Ad
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের তৈরি সফটওয়্যার ও আইটি সেবা এখন আমেরিকা, ইউরোপ, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের প্রায় ৬০টি দেশে সরবরাহ করা হচ্ছে। ২০০৯ সাল থেকে গত ১২ বছরে আইটি খাতের রপ্তানি ২৬ মিলিয়ন থেকে বেড়ে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করে বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে এ আয় ৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে এবং জিডিপিতে সফটওয়্যার ও আইসিটি সেবাখাতের অবদান ৫ শতাংশে উন্নীত হবে।’
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) ও বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব কল সেন্টার এন্ড আউটসোর্সিং (বিএসিসিও) এর সহায়তায় বাংলাদেশ সরকারের ব্রান্ড ইভেন্ট ‘ডিজিটাল ওয়াল্ড’ পাবলিক ও প্রাইভেট পার্টনারশিপ এই ‘ডিজিটাল ওয়াল্ড’ ২০২০ এর আয়োজন করেছে।
Ad
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ, এমপি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, উদ্যোক্তাবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।