চল্লিশ হাজার শিক্ষার্থী পাচ্ছেন ইউজিসির 'স্মার্টফোন ঋণ'

Thursday, November 05 2020
স্মার্টফোন কিনতে ঋণ পাচ্ছেন চল্লিশ হাজার শিক্ষার্থী
unb


দেশের ৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১ হাজার ৫০১ জন অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীকে ‘সফট লোন’ এর আওতায় প্রত্যেককে স্মার্টফোন ক্রয়ের জন্য সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হবে। এই অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের বার্ষিক বরাদ্দের বিপরীতে অগ্রিম হিসেবে সংশ্লিষ্ট খাতে সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দের ঘোষনা দিয়েছে সরকার। সম্প্রতি ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ অনলাইনে অনুষ্ঠিত এক সভায় শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ক্রয়ে সুদবিহীন ঋণ দেয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে উল্লেখ করে এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, “এই উদ্যোগের মাধ্যমে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীরা বর্তমান সময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে। এটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্যোগে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনলাইন শিক্ষায় আরও বেশি মনোযোগী হবে। তারা শিক্ষা জীবনের ক্ষতিও পুষিয়ে নিতে পারবে।”

করোনা মহামারির কারণে বর্তমান পরিস্থিতিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কিনতে সুদবিহীন ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পূর্বেই জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ইউজিসির অনলাইন সভায় এবার এ বিষয়ে পূর্নাঙ্গ তথ্যাদি প্রকাশ করা হয়েছে। দেশের জাতীয় দৈনিক যুগান্তর বলছে, “সফটলোন অনুমোদন কমিটির সুপারিশের আলোকে অনধিক ৮ হাজার টাকা শিক্ষার্থীকে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে শুধু আসল অর্থ পরিশোধ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর কিংবা অধ্যয়নকালীন সময়ে ৪টি সমান কিস্তিতে বা এককালীন এই ঋণ পরিশোধ করা যাবে।“

উল্লেখ্য, ইউজিসির সফটলোনের তালিকায় অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। দেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই ঋণ সুবিধার আওতাভুক্ত নন বলেও জানিয়েছে ইউজিসি।
share on