কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন যেসকল সেবা আসছে বাংলাদেশে

Wednesday, November 04 2020
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
image courtesy: medium.com


দেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন বিভিন্ন সেবা চালু করতে যাচ্ছে সরকারের আইসিটি বিভাগ। টেক্সট টু স্পিচ, ডি-নথি, ওসিআর, স্ক্রিন রিডার, স্পিচ টু টেক্সট, স্পেল চেকার, ব্রেইল কনভার্টার, সেন্টিমেন্ট ও ইমোশন অ্যানালাইজার, সাইন টু টেক্সটসহ প্রায় ৪০ টি অতিগুরুত্বপূর্ন সেবা ২০২১ সালের মধ্যেই চালু করা সম্ভব হবে বলে ঘোষনা করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সম্প্রতি গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ প্রকল্পসহ আইসিটি বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ে কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে অনলাইন সভায় মন্ত্রী এই ঘোষনা দেন। তিনি বলেন, “ভাষা-প্রযুক্তি বিষয়ক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন সার্ভিসগুলো দেশের তথ্য প্রযুক্তির পরিকাঠামো বদলে দেবে। একই সাথে ই-নথিকে ডি-নথিতে রূপান্তর করার জন্য এতে টেক্সট টু স্পিচ, বানান ও ব্যাকরণ সংশোধক ও ওসিআর এর মত সার্ভিসগুলোও যুক্ত করা হবে।“

বাংলাদেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিকাশে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সরকারের আইসিটি বিভাগ, বিসিসি এবং দেশীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো সম্মিলিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিনিয়তই সরকারী সেবার সাথে যুক্ত হচ্ছে ই-নথি, ই-লার্নিং, ডিজিটাল আর্কাইভ এবং ই-লেনদেনের মত আধুনিক সেবা। গুগলের ‘জিবোর্ডের’ মতো ‘বাংলা বোর্ড’ ডেভেলপ করা হচ্ছে উল্লেখ করে পলক বলেন, “এই ইনপুট সিস্টেম বা কিবোর্ডে স্পেলচেকার, ওসিআর ও স্পিচ টু টেক্সট ইঞ্জিন যুক্ত থাকবে। এই ইনপুট সিস্টেমটিতে অটোমেটিক নেক্সট ক্যারেক্টার ও নেক্সট ওয়ার্ড সাজেশনের মতো ফিচার রয়েছে।“ এছাড়াও স্ক্রিন রিডার, ব্রেইল কনভার্টার, সাইন টু টেক্সট রিকগনিশন সিস্টেমের মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের তথ্যপ্রযুক্তিবান্ধব করা হবে এবং ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর ভাষা তথ্য প্রযুক্তির আওতায় আনতে ইউনিভার্সাল বোর্ড নামে একটি লেআউট ফ্রি কিবোর্ড তৈরির পশাপাশি ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীদের ভাষা সংরক্ষণের জন্য ডিজিটাল রিসোর্স আর্কাইভও তৈরি করা হচ্ছে করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
share on