চলে গেলেন স্যামসাং গ্রুপের চেয়ারম্যান লি কুন হি
Monday, October 26 2020bonikbarta
বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান স্যামসাং গ্রুপের চেয়ারম্যান লি কুন হি মারা গেছেন। গত ২৫ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই মৃত্যু সংবাদ প্রকাশ করা হয়। মৃত্যুকালে লি কুন হির বয়স হয়েছিলো ৭৮ বছর। খুবই সাধারণ জীবনযাপন করা লি ২০১৪ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং সেই থেকে শয্যাশায়ী ছিলেন। স্যামসাং এর মত প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হয়েও অতি সাধারণ জীবনযাপন এবং রহস্যময় শেষ দিনগুলো নিয়ে গ্রাহকদের আগ্রহের কমতি নেই।
Ad
স্যামসাং এর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বলা হয়, “আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্সের চেয়ারম্যান লি’র মৃত্যু ঘোষণা করছি। চেয়ারম্যান লি তার পরিবারের উপস্থিতিতে ২৫ অক্টোবর মারা গেছেন। এ সময় স্যামসাং এর ভাইস চেয়ারম্যান লি জায়ে-ইয়ংসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তার পাশে ছিলেন।“অঢেল সম্পদের মালিক এই স্যামসাং কর্তা তার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারিদের উদ্দেশ্যে একবার বলেছিলেন, “আসুন স্ত্রী ও সন্তান ছাড়া সবকিছু পাল্টে ফেলি”। এরপর প্রতিষ্ঠানটি তাদের পূর্বে মজুত করা পুরোনো প্রায় দেড় লাখ মোবাইল হ্যান্ডসেট জ্বালিয়ে দেয় এবং দ্বিগুন উদ্যমে নতুন মোবাইল হ্যান্ডসেট নির্মান শুর করে। জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম ফোর্বস বলছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বোচ্চ ধনকুবের লি কুন হির সম্পদের পরিমান প্রায় ২১০০ কোটি ডলার।
দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্যামসাং এর সদ্য প্রয়াত চেয়ারম্যান লি কুন হি ছিলেন স্যামসাং এর প্রতিষ্ঠাতা লি বিয়ুং চুল এর তৃতীয় সন্তান। বাবার মৃত্যুর পর পারিবারিক প্রতিষ্ঠানটির হাল ধরেন তিনি। চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত হয়ে স্যামসাংকে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন তিনি। এছাড়াও বিভিন্ন উদ্ভাবনী পণ্য, আধুনিক মেমোরী চিপ, বীমা প্রতিষ্ঠান এমনকি নৌ পরিবহনেও বাণিজ্য বিস্তৃত করে স্যামসাং গ্রুপকে দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিক স্তম্ভে পরিণত করতে মূখ্য অবদান রয়েছে তার। ‘স্যামসাং এর সদ্য প্রয়াত চেয়ারম্যানের রেখে যাওয়া কর্ম চিরস্থায়ী হবে’- উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, চেয়ারম্যান লি ছিলেন অত্যন্ত দূরদর্শী, যিনি স্যামসাংকে স্থানীয় পর্যায় থেকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় উদ্ভাবনী ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার অভ্যন্তরীণ ব্যবসা বাণিজ্যও নিয়ন্ত্রণ করছে পরিবার নিয়ন্ত্রিত বৃহত্তম এই প্রতিষ্ঠান স্যামসাং।