চার্জারবিহীন আইফোন কি আসলেই পরিবেশবান্ধব?
Sunday, October 18 2020the verge
সম্প্রতি ঘোষিত আইফোন ১২ এর বক্সে থাকছেনা কোনো চার্জার কিংবা এয়ার বাড। অ্যাপল বলছে পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব কমাতেই প্রতিষ্ঠানটির এমন উদ্যোগ। তবে বক্সে দেওয়া না থাকলেও গ্রাহকরা চার্জার কিংবা এয়ার বাড খুব সহজেই কিনে নিতে পারবেন নিকটস্থ অ্যাপল স্টোর থেকে। এর ফলে অ্যাপল আদৌ পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব কমাতে সক্ষম হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা।
Ad
সম্প্রতি প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম দ্য ভার্জ-এ বলা হয়, ‘আইফোন ১২ এর বক্সে চার্জার কিংবা এয়ার বাড না থাকায় এটি পরিবেশ সম্মত- কথাটির যুক্তি নেই।' প্রতিষ্ঠানটি আরো বলছে, এটি আরেকটি ব্যবস্থা যাতে শুধুমাত্র অ্যাপলের অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে। তবে ধারনা করা হচ্ছে আইফোন ১২ গ্রাহকরা নিজের প্রয়োজনে অতিরিক্ত অর্থ ব্যায়ে ঠিকই চার্জার এবং হেড ফোন কিংবা এয়ার বাড কিনে নিবেন। অ্যাপল বলছে, আইফোন ১২ এর বক্সে চার্জার এবং এয়ারবাড না থাকায় কার্বন নিঃসরণ কম হবে, প্যাকেজিং এবং ট্রান্সপোর্টেশনে খরচ কম হবে। এদিকে অ্যাপলের ই-বর্জ্য রোধে গৃহীত নতুন এই সিদ্ধান্তে স্বাগত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক কয়েকটি পরিবেশবাদী সংগঠন।
বিভিন্ন গবেষনা সংস্থার মতে, নতুন আইফোনে ৫জি প্রযুক্তির অন্তর্ভূক্তিতে বেড়ে যাওয়া খরচ কমাতে এবং মূল্য গ্রাহকের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতেই আইফোনের বক্সে চার্জার ও এয়ারবাড সংযুক্ত করেনি অ্যাপল। আর এতেই আইফোন ১১ এর তুলনায় মাত্র ৩০-৩৫ শতাংশ বৃদ্ধিতে আইফোন ১২ এর মূল্য নির্ধারিত হয়েছে। তবে অ্যাপলের এই সিদ্ধান্তকে শুধুমাত্র ব্যাবসা বলতে নারাজ আইফোনপ্রেমী গ্রাহকরা। তাদের মতে, অ্যাপলের পূর্ববর্তী আইফোনগুলোর সাথে প্রাপ্ত চার্জার এবং এয়ারবাড খুব ভালোভাবেই নতুন আইফোনের সাথে ব্যাবহার করা সম্ভব। আর তাই নতুন চার্জার এবং এয়ার বাডের উৎপাদন কমে যাওয়ায় অ্যাপলের এই পরিবেশবান্ধব সিদ্ধান্তকে সাদরে গ্রহন করে নিয়েছেন অনেকেই।