ক্রেডিট কার্ডে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ সুদ নির্ধারন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

Thursday, September 24 2020
ক্রেডিট কার্ডে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ সুদ নির্ধারন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
bonikbarta


দেশের সকল ব্যাংক এখন থেকে ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকদের নিকট হতে কোনো অবস্থাতেই ২০ শতাংশের বেশি সুদ আদায় করতে পারবে না। চলতি সপ্তাহে এমনি এক প্রজ্ঞাপনে ক্রেডিট কার্ডের সুদের সর্বোচ্চ হার নির্ধারণ করে দিয়েছে ব্যাংকসমূহের রাষ্ট্রয়ত্ত্ব নিয়ন্ত্রক এই প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, আগামী ১ অক্টোবর থেকে ক্রেডিট কার্ডে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ সুদ আদায়ের নির্দেশনা কার্যকর হবে। দেশের সরকারী বেসরকারী সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের নিকট পাঠানো পত্রে বলা হয়েছে, “২০১৭ সালের ৩ আগস্ট ক্রেডিট কার্ড বিষয়ে একটি নীতিমালা জারি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে বলা হয়েছিল, ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের অন্যান্য ঋণের সুদের সর্বোচ্চ সুদহারের চেয়ে ৫ শতাংশের বেশি হবে না এবং এই সুদহার কেবল মাত্র অপরিশোধিত বকেয়া অর্থের ওপর প্রযোজ্য হবে।“

বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী ক্রেডিট কার্ডে নির্ধারিত সীমার সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ আগাম হিসেবে নগদ উত্তোলন করা যাবে এবং ক্রেডিট কার্ডের বিপরীতে গ্রাহককে কোনো অনিবন্ধিত ঋণ বা অন্য যেকোনো ঋণ দেয়া যাবে না। উল্লেখ্য, বর্তমানে কয়েকটি ব্যাংকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা লঙ্ঘন করে ক্রেডিট কার্ডের বিপরীতে বিভিন্ন ধরনের নগদে উত্তোলনযোগ্য ঋণ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এ ধরনের ব্যাংক ঋণ প্রদানের ফলে ব্যাংকগুলোর ঋণ ঝুঁকি বাড়ছে এবং এ ধরনের ঋণের উপর অযৌক্তিকভাবে বেশি সুদ আরোপ করছে ব্যাংকগুলো, যা গ্রাহকের স্বার্থ ক্ষুন্ন করছে। এছাড়াও কয়েকটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের অপরিশোধিত বিলের ওপর লেনদেনের তারিখ হতেই সুদ আরোপ এবং অপরিশোধিত বিলের বিপরীতে বিলম্ব ফি আদায় করছে বলেও অভিযোগ জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এমতাবস্থায় ক্রেডিট কার্ড লিমিটের বিপরীতে ঋণ সুবিধাসহ সুদ বা মুনাফার হার নির্ধারণ এবং গ্রাহকদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে-
১) ক্রেডিট কার্ডের সুদ বা মুনাফার ওপর ২০ শতাংশের বেশি সুদ নির্ধারণ করা যাবে না।
২) ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধের জন্য নির্ধারিত সর্বশেষ তারিখের পরের দিন থেকে বিলের ওপর সুদ বা মুনাফা আরোপ করা যাবে। এক্ষেত্রে কোনোভাবেই লেনদেনের তারিখ থেকে সুদ আরোপ করা যাবে না।
৩) বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী ক্রেডিট কার্ডের ওপর সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ নগদে উত্তোলনযোগ্য ঋণ সুবিধা ছাড়া অন্য কোনো নামে নগদে উত্তোলনযোগ্য ঋণ সুবিধা দেওয়া যাবে না।
৪) বিলম্বে পরিশোধিত কোনো বিলের বিপরীতে শুধুমাত্র একবার বিলম্ব ফি (অন্য যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেনো) আদায় করা যাবে।

এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিপূর্বে জারি করা ‘গাইড লাইন অন ক্রেডিট কার্ড অপারেশনস অব ব্যাংক’ এর অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
share on