বিটিআরসি-র অভিযানে হ্যান্ডসেট আমদানীকারকদের জরিমানা
Sunday, August 23 2020bdpratidin
বাংলাদেশের বাজারে বৈধ উপায়ে আমদানীকৃত স্মার্টফোনের পাশাপাশি বিবিধ উপায়ে আমদানীকৃত আনঅফিশিয়াল হ্যান্ডসেটের স্ংখ্যা নেহায়েৎ কম নয়। দেশে সম্প্রতি চালু হওয়া আইইএমআই ডাটাবেস-এ অনুপস্থিত এসব স্মার্টফোনের বিষয়ে নড়েচড়ে বসেছে বিটিআরসি। দেশের প্রথম সারির পাঁচটি স্মার্টফোন আমদানী ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানকে অবৈধ হ্যান্ডসেট বিক্রির অভিযোগে ৩১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন দেশে অবৈধ হ্যান্ডসেট আমদানী এবং বিক্রয় বন্ধে এই অভিযান পরিচালনা করে। এই অভিযানে ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স, ফেয়ার ডিস্ট্রিবিউশন, ইলেক্ট্রা মোবাইল, সোলার ইলেক্ট্রা বাংলাদেশ এবং এক্সেস টেলিকম এর বিরুদ্ধে নিবন্ধন বহির্ভূত অবৈধ হ্যান্ডসেট আমদানী এবং বিক্রয়ের অভিযোগ আনা হয়। এছাড়াও নকল এবং অবৈধ উপায়ে আমদানীকৃত হ্যান্ডসেট বিক্রয়ের অপরাধে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিক্রেতা তালিকাভূক্তির প্রশংসাপত্র বাতিলসহ কমিশনের প্রশাসনিক ক্ষমতায় শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দেশে যেকোনো স্মার্টফোন ক্রয়ের সময় ফোনটি বিটিআরসি নিবন্ধিত কিনা তা যাচাই করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিটিআরসি।
Ad
সম্প্রতি বাংলাদেশী জনপ্রিয় ইংরেজী দৈনিক নিউ এইজকে দেওয়া এক বক্তব্যে বিটিআরসির শীর্ষ এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জহুরুল হক সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে পাঁচ হ্যান্ডসেট আমদানীকারককে অবৈধ হ্যান্ডসেট আমদানী ও বিক্রির অভিযোগে ৩১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।‘ এসব আমদানীকারক প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিক্রয়কেন্দ্রে ১৭২ টি অবৈধভাবে আমদানীকৃত স্যামসাং ও শাওমি ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন পাওয়ার কথাও নিশ্চিত করেছেন এই কর্মকর্তা। এছাড়াও জব্দকৃত এসব অবৈধ স্মার্টফোন ফিরে পেতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্মার্টফোনসমূহের বিক্রয় মূল্যের অর্ধেক পরিমান অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিটিআরসির এমন অভিযোগে ফেয়ার গ্রুপের চীফ মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন বলেন, “বিটিআরসি আমাদের শুধু কয়েকটি হ্যান্ডসেটে আইএমইআই নম্বর না থাকার কথা জানিয়েছে। জরিমানার ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি।“ আইএমইআই নম্বর সিস্টেমে আপলোডের সময় কোনো ভূল হয়ে থাকতে পারেও বলে জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে স্যামসাং এবং শাওমি স্মার্টফোন আমদানী, তৈরি এবং সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে যথাক্রমে ফেয়ার গ্রুপ এবং ইলেক্ট্রা বাংলাদেশ।