ভূয়া তথ্যের মহামারী ফেসবুকে, হুমকীতে জনস্বাস্থ্য
Wednesday, August 19 2020Reuters
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ভূল এবং মিথ্যা তথ্য প্রচার জনস্বাস্থ্যের জন্য “বড় হুমকি” হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে এমন একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আওয়াজ(Avaaz)-এর গবেষণায় এই তথ্য জানা যায়। সংগঠনটির মতে, ফেসবুকে বিভিন্ন পেইজে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ভূল তথ্য গ্রাহকদের দ্বারা ৩৮০ কোটি বার দেখা হয়েছে। এ ধরনের ভূল তথ্য উপস্থাপনকারী ৪২টি ফেসবুক পেইজের প্রায় তিন কোটি সংখ্যক ফলোয়ার রয়েছে বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। জনস্বার্থে আয়োজিত এই গবেষনা কার্যের পরিচালক ফাদি কোরআন এর মতে, “ফেসবুকের অ্যালগরিদম জনস্বাস্থ্যের জন্য এক বড় হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে।“ ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ করোনার সময়ে স্বাস্থ্য বিষয়ে প্রকৃত এবং যাচাইকৃত তথ্য উপস্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি বলেও উল্লেখ করেছেন ফাদি। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিতে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত এসব মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনকারী ফেসবুক পেইজের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।
Ad
স্বাধীন এবং মুক্ত সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে পরিচিত ফেসবুকে তথ্যের অবাধ বিচরণ করোনাকালে জনগনের জন্য হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে। মহামারীর শুরু থেকেই ফেসবুকে নকল করোনা ভ্যাক্সিন, ঔষধ এবং প্রতিষেধকের প্রচারণা চালিয়ে আসছে কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী। এছাড়াও গ্রাহকদের মিথ্যা তথ্য প্রবাহ, ভূল সংবাদ উপস্থাপন এবং প্রতারণার অভিযোগ ওঠে ফেসবুকের বিরুদ্ধে। তবে মার্ক জাকারবার্গের নির্দেশে বেশ কিছু পদক্ষেপ গৃহীত হলেও কার্যত বন্ধ হয়নি মিথ্যা তথ্য প্রবাহ। এতে করে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকা গ্রাহকদের ফেসবুকের তথ্য যাচাই করে গ্রহণ করার আহ্বানও জানিয়েছিলো কয়েকটি সংস্থা। ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জনসচেতনতায় স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য বার্তা এবং করোনা প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে গ্রাহকদের নিয়মিত অবহিত করেছে ফেসবুক। এছাড়াও প্রায় দশ কোটি ভূল তথ্য প্রদানকারীকে সতর্কবার্তা প্রদান এবং এক কোটি মিথ্যা কিংবা ভূয়া তথ্য পোস্ট অপসারিত হয়েছে বলেও জানিয়েছে ফেসবুক।