বিনামূল্যের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধে বিটিআরসি-র নির্দেশ
Saturday, July 18 2020btrc
গ্রাহকদের জন্য বিনামূল্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্যাকেজ বন্ধ করতে মোবাইল অপারেটদের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সম্প্রতি ‘বিপজ্জনক’ এই প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে বিনামূল্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যাবহারের সকল প্যাকেজ বন্ধের আদেশ দেয় দিয়েছে রাষ্ট্রয়ত্ত্ব এই নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানটি। বিটিআরসি বলছে, বিনামূল্যের সেবা ব্যাবহার করে কিছু অসাধু ব্যাক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত রয়েছে। গত ১৪ জুলাই বিটিআরসির উপপরিচালক সাবিনা ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে দেশের সকল মোবাইল অপারেটরকে এই নির্দেশ প্রদান করা হয়। পরদিন অর্থাৎ ১৫ই জুলাই, ২০২০ হতেই দেশের সকল মোবাইল অপারেটরে বিনামূল্যে কিংবা স্বল্পমূল্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যাবহারের সেবা বন্ধ রয়েছে। অপারেটরগুলো বলছে, তাদের বিভিন্ন ইন্টারনেট প্যাকেজগুলোর সাথে ফেসবুক, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটারের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষেত্র বিশেষে নির্ধারিত মেয়াদে বিনামূল্যে কিংবা স্বল্প মূল্যে গাহকদের প্রদান করা হয়। তবে বিটিআরসির নির্দেশনা পাবার পর থেকেই এসব প্যাকেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রবি এবং বাংলালিংক কতৃপক্ষ।
Ad
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এক পত্রের প্রেক্ষিতে বিটিআরসি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা যায়। মোবাইল অপারেটরদের নিকট প্রেরিত পত্রে বলা হয়েছে, ‘সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী অপারেটরসমূহ তাদের গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে সোশ্যাল মিডিয়া–সম্পর্কিত সেবা আংশিক বা কোনো ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে প্রদান করতে বাজারে অসুস্থ প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করছে। এসব ফ্রি সোশ্যাল মিডিয়া–সম্পর্কিত সেবা গ্রহণ করে কিছু অসাধু ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরনের অপ্রয়োজনীয় অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।’ বিটিআরসির পক্ষে জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) জাকির হসেন খান বলেন, ‘নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বিটিআরসি অপারেটরদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে রাখে। বাজারে যাতে স্বাভাবিক প্রতিযোগিতা বজায় থাকে এবং গ্রাহকেরা যাতে নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতেই এ পদক্ষেপ।‘ অন্যদিকে অপরাধী শুধুমাত্র বিনামূল্যের ইন্টারনেট ব্যাবহার করে অপরাধ সংগঠিত করছে এমন তথ্য প্রমানের দাবি করছেন আঞ্চলিক টেলিযোগাযোগ গবেষনা সংস্থার গবেষকরা।