ট্রেনের পর এবার লঞ্চ যাত্রায় চালু হচ্ছে ই-টিকেটিং

Thursday, July 16 2020
বরিশালগামী লঞ্চ মানামী
youtube


এবার সরকারী ব্যাবস্থাপনায় চালু হচ্ছে দেশের বিস্তীর্ণ জলপথে চলমান লঞ্চসমূহের ই-টিকেটিং কার্যক্রম। সম্প্রতি দেশের নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় জানানো হয়েছে, নৌপথে যাত্রী হয়রানি রোধ এবং অনাকাংখিত দুর্ঘটনা এড়াতে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ই-টিকেটিং কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

বর্তমানে সরকারী ব্যাবস্থাপনায় যাত্রীবাহী ট্রেনের ই-টিকেটিং বা ইলেকট্রনিক টিকেটিং সিস্টেম চালু রয়েছে বাংলাদেশে। এই ব্যাবস্থায় একজন গ্রাহক অনলাইনে ই-সেবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নির্ধারিত গন্তব্যের টিকেট কিনে নিতে পারেন। এতে দীর্ঘ সময় ধরে রেল স্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরিবর্তে ঘরে বসেই টিকেট কিনে নেওয়া সম্ভব। ই-টিকেটিং চালু হবার পর বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকেট বিক্রি ব্যাবস্থায় অনিয়ম, দুর্নীতি এবং অব্যাবস্থাপনা অনেকটাই কমেছে। বেসরকারী উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান সহজ এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ই-টিকেটিং কার্যক্রমের আওতায় এতদিন বাস, প্লেন এবং কয়েকটি লঞ্চের ই-টিকেট সংগ্রহ করা যেত।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম সভাপতিত্বে এই আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় কার্যকরী কমিটির সদস্য শাজাহান খান, মো. মজাহারুল হক প্রধান, রনজিত কুমার রায়, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর, এবং এস এম শাহজাদা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এর উন্নয়ন কার্যক্রম, ড্রেজিং পরিস্থিতি এবং বর্তমানে দেশের করোনা পরিস্থিতিতে তাদের স্ব স্ব গৃহীত পদক্ষেপগুলো উপস্থাপন করা হয়। বক্তারা ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে চলমান প্রকল্প এবং লঞ্চে ই-টিকেটিং ব্যাবস্থা চালুর ওপর বিস্তারিত আলোচনায় বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্তে উপনীত হন। সমাপনী বক্তব্যে সভাপতি ই-টিকেটিং কার্যক্রম বাস্তবায়নসহ গৃহীত সকল প্রকল্পের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থা প্রধানদেরকে অনুরোধ জানান। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এর শূন্য পদসমূহ দ্রুত পূরনের উপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
share on