দেশের সাত হাজার ফার্মেসীতে পেমেন্ট করা যাবে বিকাশে
Friday, July 10 2020unb
করোনাভাইরাস মহামারীতে নগদ অর্থ আদান প্রদানে করোনা সংক্রমণ রুখতে বিকাশের ডিজিটাল ক্যাশলেস পেমেন্ট বেশ কার্যকরী। এছাড়াও জরুরী প্রয়োজনে মধ্যরাত কিংবা যেকোনো সময়ে মুমূর্ষু রুগীর জন্য ঔষধ ক্রয়ের প্রয়োজনে নগদ অর্থের পরিবর্তে বিকাশে লেনদেন বেশ সহজ এবং নিরাপদ। আর তাই দেশের সাত হাজারেরও অধিক ফার্মেসীতে বিকাশ পেমেন্ট সুবিধা যুক্ত হয়েছে। ফার্মেসীতে বিকাশে লেনদেনকে গ্রাহকদের উৎসাহিত করতে ৫% ইন্সট্যান্ট ক্যাশবেক সুবিধাও দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। বিকাশ বলছে, দেশের ৮ টি বিভাগে ১লা জুলাই হতে ১লা আগস্ট পর্যন্ত ২ মাসব্যাপী চলমান এই ক্যাশব্যাক ক্যাম্পেইনে যেকোনো গ্রাহক তাদের নিবন্ধিত ৭ হাজার ফার্মেসীতে বিকাশে পেমেন্ট করে ৫% ইন্সট্যান্ট ক্যাশব্যাক পাবেন। ক্যাম্পেইন চলাকালে একজন গ্রাহক প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২৫টাকা, প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা এবং পুরো ক্যাম্পেইনের সময় জুড়ে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা ক্যাশবেক পাবেন। বিকাশ অ্যাপ কিংবা ইউএসএসডি কোড(*247#) ব্যাবহার করে ফার্মেসীতে লেনদেনে এই ক্যাশবেক পাওয়া যাবে বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
Ad
বাংলাদেশের ব্র্যাক ব্যাংক এবং যুক্তরাষ্ট্রের মানি ইন মোশন এর যৌথ উদ্যেগে ২০১১ সালে দেশের প্রথম মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশের যাত্রা শুরু হয়। শুধু মাত্র সহজে আর্থিক লেনদেনের উদ্দেশ্য থেকে চালু হলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন সেবা যুক্ত হয়েছে বিকাশে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক সংখ্যা আড়াই কোটি। করোনা পরিস্থিতিতে প্রান্তিক জনগনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য পৌঁছে দিয়েছে বিকাশ। এছাড়াও, দেশের সবচেয়ে বড় আর্থিক খাত তৈরি পোশাক শিল্পের কর্মীদের বেতন, ঈদ বোনাস এবং বিভিন্ন ভাতা প্রদান করা হয়েছে বিকাশের মাধ্যমে। দৈনন্দিন জীবনের গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল, ইন্টারনেট, ক্রেডিট কার্ড বিল, বিভিন্ন পেমেন্ট, মোবাইল রিচার্জ, প্রবাসীদের রেমিটেন্স প্রেরণসহ যাবতীয় সকল আর্থিক লেনদেনের নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান বিকাশ। দেশে বৈধ পথে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের ওপর ঘোষিত সরকারী প্রণোদনা পৌছে যায় বিকাশের মাধ্যমে। খুব সহজেই অনলাইন অ্যাপস এর মাধ্যমে একটি সিমকার্ড এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের মাধ্যমে ঘরে বসেই বিকাশ একাউন্ট খুলে ফেলা যায়।