বাড়ছে মোবাইল ফোন ব্যাবহারের খরচ

Thursday, June 11 2020
২০২০-২১ অর্থবছরে মোবাইলফোনে অতিরিক্ত করারোপ
Dailystar


সম্প্রতি দেশের জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করা হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ঘোষিত জাতীয় বাজেটে মোবাইল ফোন সেবায় সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ ঘোষনা করা হয়। মোবাইল ফোনের সেবায় অতিরিক্ত ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপে ফোনে কথা বলা, এসএমএস সার্ভিস এবং ডেটা ব্যাবহারের খরচ বৃদ্ধি পাবে। উল্লেখ্য, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে সর্বপ্রথম মোবাইল সেবায় ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপিত হলেও পরবর্তীতে তা কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছিলো। ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোবাইল ফোন সেবায় সম্পুরক শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছিলো। এক বছর না যেতেই চলতি বাজেটে সরকারের শুল্কের অন্যতম উৎস মোবাইল ফোন সেবায় অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হল। বাজেট প্রস্তাবনা পেশের পর এনবিআর এসআরও জারি করায় মঙ্গলবার মধ্যরাত ১২ টা থেকে মোবাইল সেবায় গ্রাহকদের থেকে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক আদায় করবে টেলিকম অপারেটরগুলো।

দেশের সবচেয়ে বড় দুই মোবাইল ফোন অপারেটর জিপি এবং রবির শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন আরোপিত এই সম্পূরক শুল্কের ফলে বর্তমানে মোবাইল সেবায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ১ শতাংশ সারচার্জ, ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং অন্যান্য কর মিলে মোট কর ২৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াবে ৩৩.২৫ শতাংশ। অর্থাৎ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কেউ যদি ১০০ টাকার সেবা নিতে চান, তাহলে ৭৫ দশমিক শূন্য ৩ টাকার সেবা নিতে পারবেন এবং ২৪ দশমিক ৯৭ টাকা যাবে সরকারের ভ্যাট, ট্যাক্স, সারচার্জ এবং এসডি শুল্ক হিসেবে। বিশেষজ্ঞদের মতে করোনা মহামারীতে কার্যকর যোগাযোগ মাধ্যম মোবাইল সেবায় নতুন কর আরোপের প্রস্তাবনা অত্যন্ত দুঃক্ষজনক এবং এটি দেশের ডিজিটাইজেশনের পথে প্রতিবন্ধক হয়ে দাড়াতে পারে। এদিকে দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোনের ওপর মূসক অব্যাহতি এবং সংযোজিত মোবাইল ফোনের ওপর ৫% মূসক বিদ্যমান রয়েছে। বাজেটে আমদানীকৃত মোবাইল ফোনে ৬০ শতাংশ আমদানি শুল্ক বহাল থাকলেও নূন্যতম মূল্য নির্ধারনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
share on