প্রযুক্তি দুনিয়ায় আপনি কতটুকু সুরক্ষিত?
Sunday, May 17 2020mekongnet
আমরা ঘরে বসেই ইন্টারনেটের সাহায্যে খুব সহজে আবহাওয়ার পূর্বাভাস থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ, কৃষি, চিকিৎসা কিংবা শিক্ষা ক্ষেত্রের প্রয়োজনীয় তথ্যাদি আদানপ্রদান করতে পারি। বিশ্লেষকদের মতে ইন্টারনেটের উপর আমাদের নির্ভরশীলতা এতটাই বেশী যে কোনোদিন যদি পৃথিবীজুড়ে ১ ঘন্টা ইন্টারনেট বন্ধ থাকে তবে তা রীতিমত যুদ্ধে রুপ নিতে পারে। দুরবর্তী স্থানে তথ্য আদান প্রদানে ইন্টারনেটের ব্যাবহার ছাড়া অচল। তবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম প্রয়োজনীয় মাধ্যম ইন্টারনেট আমাদের জন্য কতটুকু নিরাপদ তা কি কখনো ভেবে দেখেছি? চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে আমরা ইন্টারনেট ব্যাবহার করে নিরাপদে থাকতে পারি।
Ad
প্রযুক্তি দুনিয়ার খবর আমরা যারা নিয়মিত রাখি তাদের কাছে খুবই পরিচিত একটি শব্দ ভিপিএন। ভিপিএন এর পূর্ণরুপ হচ্ছে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক। বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং কর্মকর্তাদের ভিপিএন ব্যাবহার বাধ্যতামূলক হলেও আমাদের দেশে ভিপিএন এখনো এতটা জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন হ্যাকার গোষ্ঠী গ্রাহকদের অজান্তেই হাতিয়ে নিচ্ছে ফোন কিংবা কম্পিউটারে থাকা ছবি, ভিডিও, ফোন নাম্বার, ঠিকানা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের তথ্য কি গুরুত্বপূর্ন ব্যাংকিং তথ্যাদি। ইন্টারনেট ব্যাবহারে একটু সচেতন হলেই এসব তথ্যাদির বেহাত হওয়া ঠেকানো সম্ভব। এক্ষেত্রে ভিপিএন ব্যাবহার খুবই কার্যকরী। ইতিমধ্যেই আমরা জেনে এসেছি ইন্টারনেট হচ্ছে একটি খবর, সংবাদ কিংবা বার্তা আদান প্রদানের মাধ্যম। আর এই মাধ্যমে আপনাকে সুরক্ষিত রাখতে অতীব জরুরী ব্যাবস্থার নাম ভিপিএন। নেটওয়ার্ক সংযোগে ব্যাবহারকারীর নিরাপত্তা প্রদান করবে এমন উদ্দেশ্য নিয়েই ১৯৯৬ সালে একজন মাইক্রোসফট কর্মী একটি বিশেষ প্রযুক্তি তৈরি করেন। পরবর্তীতে একেই ভিপিএন নামকরণ করা হলেও বর্তমানে এটি অনলাইনে আপনার কার্যকলাপ, অবস্থান, বিভিন্ন পেমেন্ট সংক্রান্ত তথ্যাদি এবং ক্ষতিকর ওয়েবসাইট থেকে আপনার ডেটাকে সুরক্ষিত রাখে।
ভিপিএন হচ্ছে এমন একটি প্রযুক্তি যাতে ইন্টারনেটে যেকোনো ওয়েবসাইটে আপনার প্রকৃত অবস্থান এবং ডেটা গোপন রেখে অন্য কোনো নকল অবস্থান এবং ডেটা ব্যাবহার করে আপনাকে নিরাপদে সেই ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় সকল কাজ করার সুবিধা প্রদান করে। নকল ব্যাবহারকারী ডেটা ব্যাবহারের ফলে আপনার কম্পিউটার কিংবা মোবাইল ম্যালওয়্যার, ফিশিং, ভিশিং এবং যেকোনো সাইবার অ্যাটাক থেকে সুরক্ষিত থাকে। বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বিনামূল্যে ভিপিএন সেবা প্রদান করে। এছাড়াও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক সেবার জন্য নাম মাত্র মূল্যে খুব সহজেই প্রযুক্তি দুনিয়ায় নিরাপদ থাকা সম্ভব। সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, আপনার নিজের, নিজের পরিবার কিংবা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রথম ধাপ হচ্ছে ভিপিএন ব্যাবহার।