ঘুষ কেলেঙ্কারিতে ক্ষমা চাইলেন স্যামসাং ভাইস-চেয়ারম্যান!
Friday, May 08 2020ndtv
দক্ষিন কোরিয়ার মাটিতে জন্ম নেয়া সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স। বিশ্বজুড়ে ফ্রীজ-টিভি, এসি, মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য প্রযুক্তি পণ্যের অন্যতম উৎপাদন ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান স্যামসাং। দক্ষিন কোরিয়ার অর্থনীতির ২০ শতাংশের নিয়ন্ত্রক এই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে ঘুষ, দুর্নীতি এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ওঠে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের মতে, অবৈধ পন্থায়, দুর্নীতির আশ্রয়ে স্যামসাং এর উত্তরাধিকারী লি জায়ে-ইয়ং প্রতিষ্ঠানটির সর্বময়ক্ষমতার অধিকারী হবার ষড়যন্ত্র করেন। তিনি তার পক্ষে কাজ করতে রাজনৈতিক নেতাদের ঘুষ প্রদানসহ বিভিন্ন শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে প্রতারণা করেছেন। এসব দুর্নীতি এবং দক্ষিন কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন-হে এর পদত্যাগ ষড়যন্ত্র পরিকল্পনার দায়ে স্যামসাং ভাইস-চেয়ারম্যান লি জায়ে-ইয়ংকে ৫ বছরের সাজা দেয় সিউলের একটি আদালত।
Ad
১৯৩০ সালের একটি ক্ষুদ্র ব্যাবসা থেকে গড়ে উঠেছে আজকের স্যামসাং। প্রতিষ্ঠাতা লি বাইং-চুল এর পারিবারিক ব্যাবসা হিসেবে গড়ে উঠলেও বর্তমানে এটি একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। উত্তরাধিকারসূত্রে পরবর্তীতে তার ছেলে লী কুন-হি চেয়ারম্যান এবং তার পুত্র লি জায়ে-ইয়ং ভাইস-চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে স্যামসাং প্রতিষ্ঠাতার একমাত্র নাতী ৫১ বছর বয়সী ভাইস-চেয়ারম্যান লি জায়ে-ইয়ং এর অবৈধ উপায়ে ক্ষমতা গ্রহন, ক্ষমতার অপব্যাবহার এবং কর্মীদের বাধ্যগত করতে ঘুষ প্রদান ইত্যাদি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন। এর পাশাপাশি তিনি দক্ষিন কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন-হে এর পদত্যাগ ষড়যন্ত্র পরিকল্পনার দায়ে তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন দক্ষিন কোরিয়ার আদালত। বর্তমানে তিনি এসব অপরাধের সাজা ভোগ করছেন। সম্প্রতি রয়টার্সের এক সাক্ষাতকারে কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়ে লি জায়ে-ইয়ং বলেন, “আমরা সমাজের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছি, যথাযত আইন ও নৈতিকতাকে গুরত্ব না দেওয়ার ফলে আমরা মানুষকে হতাশ এবং তাদের উদ্বেগ তৈরি কারণ হয়েছি।“ তার পরবর্তী প্রজন্মকে স্যামসাং এর কর্ণধার করে গড়ে তুলবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, জনসম্মুখে এসব দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র উঠে না আসলে স্যামসাং পরিবারের কেউ কখনই ক্ষমা চাইতেন না বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।