কাজে ফিরতে ভারতে করোনা ট্রেসিং অ্যাপ বাধ্যতামূলক
Sunday, May 03 2020Reuters
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশ এবং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো অভিনব প্রযুক্তি নিয়ে এগিয়ে আসছে। এই করোনা ক্রান্তিকালে উদ্ভাবিত এমনই একটি প্রযুক্তির নাম ট্রেসিং অ্যাপ্লিকেশন। গুগল এবং অ্যাপলের মত বড় বড় প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে অন্যান্য অনেক প্রতিষ্ঠানই ট্রেসিং অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত এবং তাদের যথাযথ আইসোলেশন নিশ্চিতে সাহায্য করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপের অনেক দেশেই এ ধরনের ট্রেসিং অ্যাপ্লিকেশন ব্যাবহার করে সফলতা পাওয়ায় শিথিল করা হচ্ছে লকডাউন। সেই ধারাবাহিকতায় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও কর্মীদের ট্রেসিং অ্যাপ্লিকেশন বাধ্যতামূলকভাবে ব্যাবহারের ঘোষনা দিয়েছে সরকার।
Ad
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় বলছে, শীঘ্রই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সনাক্তে ‘আরোগ্য সেতু’ নামে ব্লুটুথ এবং জিপিএস নির্ভর একটি অ্যাপ্লিকেশন চালু হচ্ছে। অ্যাপ্লিকেশনটির প্রধান কাজ হবে কোনো কর্মী করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন কিনা, অথবা কতটুকু দুরত্বে অবস্থান করেছেন তা নির্ণয় করা। পরবর্তীতে নতুন করে কারো করোনা সনাক্ত হলে তার সংস্পর্শে আসা সকল গ্রাহককেই প্রয়োজনীয় বার্তা পৌছে দেবে এই অ্যাপ্লিকেশন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ১৩০ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারতে এমন অ্যাপ্লিকেশনের ব্যাবহার নিশ্চিত করতে পারলে অনেকাংশেই ব্যাপক হারে করোনা সংক্রমন ঠেকানো সম্ভব। নরেন্দ্র মোদী সরকারের নির্দেশে সরকারী এবং বেসরকারী সকল প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এই অ্যাপ্লিকেশন।
ইসরায়েলসহ বিভিন্ন দেশে এমন অ্যাপ্লিকেশন ব্যাবহারে গ্রাহকের ব্যাক্তিগত সুরক্ষা এবং গোপনীয়তা লঙ্ঘনের প্রশ্ন জোড়ালোভাবে উঠে এসেছে। ভারতে গ্রাহকদের সব ডেটা অজ্ঞাতনামা হিসাবে সংগ্রহ করা হবে বলে সুরক্ষা নীতির লঙ্ঘন ঘটবেনা বলে জানিয়েছেন ভারতের নীতিনির্ধারকেরা। উল্লেখ্য, গুগল প্লে স্টোরের হিসাবে ইতিমধ্যেই ৫ কোটির ও বেশী গ্রাহক অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করেছেন।