ট্রাম্পের আপত্তি সত্ত্বেও হুয়াওয়েই আস্থা যুক্তরাজ্যের
Wednesday, April 22 2020Reuters
যুক্তরাষ্ট্র-চীন টানাপোড়নের মধ্যে ৫জি প্রযুক্তির প্রসার কার্যত বন্ধই হয়ে আছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আরোপের ফলে তাদের মিত্র দেশগুলোও হুয়াওয়ে তথা চীনের সাথে সকল ব্যবাসায় ইতি টানতে শুরু করে। গুগল, ফেসবুক, অ্যাপলসহ প্রযুক্তি দুনিয়ার বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো চীন এবং হুয়াওয়ের পণ্য ও সেবা গ্রহণ থেকে সরে আসে। সর্বশেষ করোনা মহামারীর কারন হিসেবে ৫জি প্রযুক্তিকে দায়ী করে গুজবও রটানো হয়। তবে পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই ব্যাবহৃত নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির সিংহভাগ এর প্রস্তুতকারক ও সরবরাহকারী চীনা কোম্পানি হুয়াওয়েকে বাদ দিয়ে ৫জি প্রযুক্তির বাস্তবায়ন প্রায় অসম্ভব। আর তাই ৫জি বাস্তবায়নে হুয়াওয়ের প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার।
Ad
এই মুহুর্তে করোনা সংক্রমনে আক্রান্ত পৃথিবীর এই প্রাচীনতম সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্ব্যাস্থ্যমন্ত্রী সহ আরো অনেক নাগরিক। তবে থেমে নেই যুক্তরাজ্য সরকারের কার্যক্রম। পুরো দেশজুড়ে ৫জি নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির বাস্তবায়ন করতে হুয়াওয়ের প্রযুক্তি ব্যাবহারের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়। তথ্যসূত্র বলছে, মূল কাজের অসংবেদনশীল ৩৫ শতাংশ পাচ্ছে হুয়াওয়ে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের স্থায়ী সচিব এবং ডিপ্লোমেটিক সার্ভিস এর প্রধান সাইমন ম্যাকডোনাল্ড এর মতে,’’যুক্তরাজ্য সরকার কঠিন শর্ত সাপেক্ষে এতে(৫জি প্রযুক্তি) বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, এটি পুনরায় পর্যালোচিত হবেনা।‘’ তিনি আরো বলেন চীন যুক্তরাজ্যের খুবই গুরুত্বপুর্ন অংশীদার এবং হুয়াওয়ে কৌশলগতভাবে এই কাজ পাবার সিদ্ধান্ত যথেষ্ট যৌক্তিক। তবে এবার দেখার বিষয় চীনের ৫জি প্রযুক্তির ঘোরতর বিরোধী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মিত্র রাষ্ট্র যুক্তরাজ্যের এই সিদ্ধ্বান্তকে কিভাবে মূল্যায়ন করেন।