২০২১ সালেই ফাইভজি যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে দেশ: ইয়াফেস ওসমান

Sunday, January 19 2020 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেছেন, বাংলাদেশকে আর থামানো যাবে না। ২০২১ সালে প্রযুক্তির বিস্ময়কর আবিস্কার ফাইভজি যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে দেশ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে আর থামানো যাবে না। আমরা মহাকাশ জয় করেছি, দারিদ্র জয় করছি, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র আমরা চালু করতে যাচ্ছি। আমরা ২০২১ সালে প্রযুক্তির বিস্ময়কর আবিস্কার ফাইভজি যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছি।’

২০২১ সালেই ফাইভজি যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে দেশ: ইয়াফেস ওসমান


মন্ত্রী গতকাল শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলায় চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এবং সোসাইটি ফাইভ পয়েন্ট জিরো’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোচক ছিলেন। রবি আজিয়াটা লিমিটেডের সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদের পরিচালনায় বিটিআরসি’র এসএস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহীদুল আলম অনুষ্ঠানে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে সাবেক সচিব শ্যামসুন্দর শিকদার বক্তৃতা করেন।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, জ্ঞান হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শক্তি। জ্ঞান চর্চা না করলে তা নষ্ট হয়ে যায়। যে বাঙালি লাঙ্গল চালানো ছাড়া আর কিছুই জানত না, সেই হাতে এখন ল্যাপটপ কিংবা স্মার্ট ফোন ব্যবহার করা হচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব হচ্ছে যান্ত্রিক এবং সোসাইটি ফাইভ পয়েন্ট জিরো হচ্ছে মানবিক উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, যন্ত্র মানুষের জন্য, কিন্তু যন্ত্রের জন্য মানুষ নয়। জ্ঞানই হচ্ছে সভ্যতার নতুন শক্তি। জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করেই বাংলাদেশ ডিজিটাল সাম্য সমাজের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে এমন কোন এলাকা খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে ব্রডব্যান্ড সংযোগ থাকবে না। ‘২০২১ সালের মধ্যে আমরা ফাইভ জি প্রযুক্তি চালু করার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। প্রযুক্তির যাত্রা শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে। তাঁরই উত্তরসুরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত দেশে কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহার এবং চারটি কোম্পানিকে মোবাইল ফোনের লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে দেশে কম্পিউটার এবং মোবাইল ফোনকে সাধারণের নাগালের মধ্যে পৌঁছে দেন।’

মেলার শেষ দিনে মন্ত্রী এবং সিনিয়র সরকারী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞগণের অংশগ্রহণে উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তা, ভবিষ্যত বাংলাদেশের চালিকা শক্তি, উন্নত সেবা প্রদানে ডিজিটাল সরকার, স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন্স এবং ডিজিটাল ব্রডকাস্টিং, প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে ডিজিটাল প্রযুক্তি শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।[ বাসস ]

share on