ভারতে নিষেধাজ্ঞায় টিকটকের দৈনিক ক্ষতি চার কোটি টাকা

Tuesday, April 23 2019
tiktok
Reuters


ভারতে টিকটক অ্যাপের ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়ায় এর ডেভেলপার কোম্পানী “বেইজিং বাইটড্যান্স টেকনোলজি কোং” প্রতিদিন ৫০০,০০০ ডলার বা চার কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে এবং ২৫০ এরও বেশি মানুষের চাকরির সুযোগ নষ্ট হচ্ছে বলে কোম্পানীটির করা আদালতে একটি আবেদনের কাগজ থেকে জানায় রয়টার্স।

টিকটক বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় একটি মোবাইল অ্যাপ যা ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন স্পেশাল ইফেক্ট ব্যবহার করে সংক্ষিপ্ত ভিডিও বানানো ও শেয়ার করার সুযোগ করে দেয়। সেনসর টাওয়ার নামের একটি সংস্থা জানায় যে, শুধু ভারতে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন বার এই অ্যাপটি ডাউনলোড করা হয়েছে যেখানে বিশ্বব্যাপী ১ বিলিয়নেরও বেশিবার অ্যাপটি ডাউনলোড করা হয়। এই মাসের শুরুতে যৌনতা ছড়ানোর অভিযোগে ভারতের একটি কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে এই অ্যাপের ব্যবহার বন্ধে নির্দেশ দেয়। নির্দেশনা অনুযায়ী আইটি মন্ত্রণালয়, অ্যাপল ও গুগল তাদের ভারতীয় অ্যাপলিকেশন স্টোর থেকে টিকটক অ্যাপটি নামিয়ে নেয়। এর ফলে ভারতের বাজারে বাইটড্যান্সের অব্যাহত যাত্রা বাধার সম্মুখীন হল। জাপানের সফটব্যাংক গ্রুপের বিনিয়োগপ্রাপ্ত বাইটড্যান্স বিশ্বের অন্যতম উদীয়মান স্টার্টআপ কোম্পানী, যার বাজারমূল্য প্রায় ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এই নিষেধাজ্ঞা ভারতের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিরুপ প্রভাব ফেলছে। এর ফলে আদালত এই প্ল্যাটফর্মেও নজরদারি বাড়াতে পারেন বলে আশংকা করছেন অনেকে। ভারতের সুপ্রিম কোর্টে করা এই মামলায় বাইটড্যান্স কোম্পানী তাদের অ্যাপকে আবার অ্যাপল ও গুগলের ভারতীয় স্টোরে ফিরিয়ে আনার আদেশ দেওয়ার জন্য আরজী জানিয়েছে। তাদের বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক আয় বাবদ প্রতিদিন ৫০০,০০০ মার্কিন ডলার ক্ষতির কথা এতে উল্লেখ করে। সুপ্রিম কোর্ট এখনই নিজেরা কোন আদেশ না দিয়ে আবেদনটি দক্ষিণ তামিল নাড়ুর যে আদালতে এই রায় দেওয়া হয়েছিল সেখানে আগামী বুধবার পুনরায় শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন।

টিকটক অ্যাপে এর ব্যবহারকারী বিভিন্ন অডিও ব্যবহার করে শুধু ঠোঁট নেড়ে অভিনয়ের ভিডিও বানাতে পারেন। যা ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। এর আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তাকে অনেক রাজনীতিবিদ এবং অভিভাবক ভালো চোখে দেখছেন না। তারা মনে করেন এর ব্যবহার, অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের যৌনতার দিকে টেনে নিতে ভূমিকা রাখছে।

সুপ্রিম কোর্টে করা আবেদনে বাইটড্যান্স তাদের টিকটক অ্যাপে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামের চেয়ে ১৩ টি ভিন্ন নিরাপত্তা ধাপ ও প্যারেন্টাল কন্ট্রোল থাকার কথা উল্লেখ করে।
share on