বিপিও সামিটে তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনমুখী হওয়ার আহ্বান জয়ের

Monday, April 22 2019 প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এ খাতের তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রতি বিশ্বব্যাপী আইসিটি সেক্টরের নেতৃত্ব গ্রহণে তাদের নিজস্ব উদ্ভাবনী ধারণা সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) শিল্পের সাথে যুক্ত ব্যক্তিবর্গের প্রতি আমার বার্তা হচ্ছে, আপনারা আপনাদের নিজস্ব উদ্ভাবন এবং ভিশন ঠিক করুন, নিজস্ব ধারণা অনুসন্ধান করুন, নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করুন, আমরা অনুকরণ করবো না, উদ্ভাবন করবো।’

বিপিও সামিটে তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনমুখী হওয়ার আহ্বান জয়ের


সজীব ওয়াজেদ জয় গতকাল নগরীর একটি হোটেলে দুই দিনব্যাপী ৪র্থ বিপিও সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তরুণ আইটি উদ্যোক্তাদের প্রতি এ আহ্বান জানান। আইসিটি উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ‘বিশ্বে আউটসোর্সিং-এর কেন্দ্র’ হিসেবে বিশ্বব্যাপী সুনাম অর্জন করেছে, যার ফলে তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা কঠিন।তিনি বলেন, ভারতের আইটি ও বিপিও প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুকরণের চেষ্টা করে আমাদের বিপিও শিল্পের ভারতের মুখোমুখী বা পায়ে পায়ে চলার কোন প্রয়োজন নেই।

ডাক ও টেলি যোগাযোগ ও আইটি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব কল সেন্টার এন্ড আউটসোর্সিং (বিএসিসিও) এর সভাপতি ওয়াহেদ শরীফ।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, বিশ্বব্যাপী বিপিও খাতের বাজার প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের বিপিও ব্যবসার বাজার গত ১০ বছরে ইতোমধ্যেই ৩০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। সেই সম্ভাবনাকে সকলের সামনে তুলে ধরা এবং তরুণ প্রজন্মের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার এখনই সময়। তিনি বলেন ২০০৮ সালে যেখানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ, বর্তমানে সেই সংখ্যা ৯ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। কেবল গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ানোই নয়, ব্যবহারকারীদের জন্যে ইন্টারনেট যেন নিরাপদ হয় সেজন্যেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ২০০৫ সালে যে ব্যান্ডউইথের দাম ছিল ৭৫ হাজার টাকা, সরকার এখন তা ৪০০ টাকায় নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। মোবাইল ফোন ইন্টারনেটে আমরা ইতোমধ্যেই ফোর জি সেবা চালু করেছি; অচিরেই একে ফাইভ জি-তে উন্নীত করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান মোস্তাফা জব্বার।

বর্তমানে বিপিও খাতে প্রায় ৫০ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে উল্লেখ করে ২০২১ সালের মধ্যে প্রায় ১ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, নানা ধরনের উদ্যোগ নেয়ার মাধ্যমে স্বল্প মূল্যে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট সেবা প্রাপ্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের অগ্রযাত্রা বজায় থাকবে। [ বাসস ]
share on