বাংলাদেশ ব্যাংকে হ্যাকিংয়ের পর হ্যাকারদের কৌশলে পরিবর্তন: ব্লুমবার্গ

Saturday, April 20 2019
বাংলাদেশ ব্যাংকে হ্যাকিংয়ের পর কৌশল পরিবর্তন হ্যাকারদের: ব্লুমবার্গ
image credit : fortune


তিন বছর আগে, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার চুরি করে হ্যাকাররা। তবে এর পর থেকে তারা কম পরিমাণ অর্থের দিকে ঝুঁকছে। সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আন্তঃব্যাক যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যম “সুইফট” জানায়, ২০১৮ সালে ২৫০,০০০ ডলার থেকে ২ মিলিয়ন ডলার অংকের অর্থ আত্মসাতের দিকে হ্যাকারদের নজর ছিল বেশি। প্রায় ৮৩ শতাংশ ভূয়া ট্রানজেকশন মেসেজ এশিয়া মহাসাগরীয় অঞ্চলের ব্যাংকগুলোতে পাঠানো হয়। আর অন্যদিকে হ্যাকিং করা অর্থ স্থানান্তরে তাজিকিস্তান, মোজাম্বিক বা আফগানিস্থানের মত অধিক দূর্নীতিগ্রস্থ দেশগুলোকে বেছে নেয়া হয়। ২০১৮ সালের তথ্যানুযায়ী এই দেশগুলোতে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ বেশি ছিল।

“যত বৃহৎ অংকের অর্থ স্থানান্তরের বার্তা আসে, প্রতারণা সনাক্তকরণ ব্যবস্থা কার্যকরের সম্ভবনাও তত বৃদ্ধি পায়”, সুইফট তাদের এক গবেষণায় জানিয়েছে। “বাংলাদেশের অর্থ চুরির ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা অনেক ট্রানজেকশন অনুরোধ আসার ফলে তাদেরকে চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়ে।“

২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ আত্নসাতের ঘটনার পর সুইফট তাদের বিশ্বব্যাপী ১১,০০০ ব্যবহারীকে নিয়ে একটি ভিন্ন সাইবার নিরাপত্তা তৈরী করে। এটি একটি নতুন সেবা নিয়ে আসে যার মাধ্যমে সদস্য ব্যাংকগুলো তারবার্তাইয় পাঠানো অবৈধ অনুপ্রবেশ সহজে ধরে ফেলতে পারবে। আগের পন্থা অবলম্বনে ব্যর্থ হয়ে হ্যাকাররা এখন লেনদেন চলাকালীন সময়ে তাদের ভূয়া মেসেজগুলো পাঠানো শুরু করেছে যেন সেগুলোকে সুইফট সিস্টেম আসল মেসেজের ভীড়ে চিহ্নিত করতে না পারে। সুইফট জানায়, এর আগে এই ভূয়া ট্রানজেকশন গুলো মানুষের দৃষ্টি এড়াতে বন্ধের দিন বা লেনদেন বন্ধ থাকা অবস্থায় পাঠানো হত। তবে সংস্থাটি গত বছর কী পরিমাণ ভূয়া ট্রানজেকশন রিকুয়েস্ট এসেছে বা এর মধ্যে সফলতার হার কত ছিল তা জানায় নি।
share on