দেশে ফাইভ জি’র সফল পরীক্ষা চালাল রবি ও হুয়াওয়ে
Thursday, July 26 2018 বাংলাদেশ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবির সহায়তায় প্রথমবারের মতো ফাইভ জি প্রদর্শন করলো প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। গতকাল বুধবার রাজধানীর প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ফাইফ জি প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ।অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘যখনই কোনো নতুন প্রযুক্তি আসে, আমি সেটা ব্যবহার করতে চাই। প্রযুক্তিপ্রেমী হিসেবে এটা আমার অভ্যাস। যদিও আমরা ইতোমধ্যে দেশে ফোর জি চালু করছি, কিন্তু আমরা ইতোমধ্যেই ফাইভ জি নিয়ে আলোচনা শুরু করে দিয়েছি। বাংলাদেশই প্রথম দেশ যেখানে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ১জি থেকে ফোর জি চালু করতে পেরেছে। প্রযুক্তিগত দিক থেকে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ এক সময় বেশ পিছিয়ে ছিল। এখন আমরা কোথায় আছি দেখুন! গত পাঁচ বছরের মধ্যে ইন্টারনেটের মূল্য ৯৯ শতাংশ কমাতে আমি রেগুলেটরদের ওপর চাপ দিয়েছি। এখন বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের মূল্য সবচেয়ে কম। অন্য কোনো দেশ এত দ্রুত পরবর্তী প্রজন্মের ইন্টারনেট চালু করতে পারেনি।’
Ad
হুয়াওয়ের সাউথইস্ট এশিয়া অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট জেমস উ বলেন, ‘আইসিটি খাতে বাংলাদেশের ব্যাপক প্রবৃদ্ধিতে আমি সব সময়ই উল্লসিত, যা এই অঞ্চলের মানুষের সংযুক্ত করার জন্য একটি সত্যিকারের উদাহারণ হিসেবে থাকবে। আমরা বিশ্বাস করি, ফাইভ জি’র সহায়তায় বাংলাদেশের মানুষ তাদের ডিজিটাল জীবনকে আরও বেশি উপভোগ করতে পারবে।’
অনুষ্ঠানে রবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ফাইভ জি’র মতো নতুন নতুন প্রযুক্তির সহায়তা ছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব না। একটি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য ফাইভ জি আবারও আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন, যাতায়ত, শিপিং এবং অন্যান্য খাত নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। সুতরাং আমাদের অবশ্যই ফাইভ জি’র বিষয়ে উচ্চাকাক্সক্ষী হতে হবে এবং তবে আমরা টেলিকম খাতে বিদ্যমান সমস্যাগুলোও উপেক্ষা করতে পারি না। তাই এসব সমস্যার সমাধান করেই আমরা সামনে আগাবো। বাস্তব চিত্র হলো, বাংলাদেশে একটি মাত্র মোবাইল অপারেটর কোম্পানি লাভজনক। সুতরাং ফাইভ জি নেটওয়ার্কের জন্য বড় ধরনের বিনিয়োগ আনতে এই ইন্ডাস্ট্রির শেয়ার হোল্ডারদের রাজি করানো খুবই কষ্টকর। মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটররা (এমএনও), প্রযুক্তি বিক্রেতা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং সরকার যদি এক সাথে এগিয়ে আসে তাহলে আমি নিশ্চিত যে, বাংলাদেশে ফাইভ জি বাস্তবায়নে আমরা একটি সহজ উপায় বের করতে পারবো। আজকের ফাইভ জি’র পরীক্ষামূলক প্রদর্শনী এই সমস্যা সমাধানে প্রাথমিক ভিত্তি তৈরি করেছে।’
Ad
এই উন্নত নেটওয়ার্ক আগামী ২০২০-২০৩০ সালের মধ্যে ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করবে। নিউ রেডিও অ্যাক্সেস টেকনোলজি (আরএটি) এবং বিদ্যমান তারহীন টেকনোলজি (এলটিই, এইচএসপিএ, জিএসএম এবং ওয়াইফাই) উভয়ের মাধ্যমে ফাইভ জি রেডিও অ্যাক্সেস তৈরি হবে। ফাইভ জি মানুষ এবং সংযুক্ত যন্ত্রাংশের মধ্যে জিরো ডিসটেন্স কানেকটিভিটি সরবরাহ করবে। ফলে মানুষের জীবনের সব বিষয়গুলো সমৃদ্ধ হবে, যা ডিজিটাল প্রযুুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে ইতোমধ্যে প্রভাবিত হচ্ছে। শিক্ষা, বাণিজ্য, আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা, স্বাস্থ্য, ব্যাংকিং এবং যোগাযোগের সব সাধারণ মাধ্যমগুলোতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের মতে, ফাইভ জি’র ব্যবহারে অনেক যুগান্তকারী পরিবর্তনের সুচনা করবে। [ বিজ্ঞপ্তি ]