ড্রোন তৈরির সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে গুগল

Sunday, August 31 2014
ড্রোন তৈরির সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে গুগল
ড্রোন তৈরির সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে গুগল


মালামাল পরিবহনের জন্যে একটি ড্রোন বা বায়ুযান তৈরি ও তার সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে গুগল। গুগল এক্স -এর অধীনে প্রোজেক্ট উইং কোম্পানিটির গোপন প্রযুক্তি গবেষনা পরিচালনা করে থাকে। নিজেদের চালক-বিহীন গাড়ি পরিচালনা করাও এই প্রকল্পের দায়িত্ব। প্রোজেক্ট উইং গত দু’বছর ধরে লোকচক্ষুর অন্তরালে সকল কর্মকান্ড চালিয়েছে।

অনেকদিন থেকেই গুগল একটি ড্রোন তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছিল। তারা এমন কিছু তৈরি করতে চেষ্টা করছিল যা সাধারণ যানবাহনের পক্ষে যেখানে যাওয়া সম্ভব নয় এমন দূর্গমস্থানে বন্যা, ভূমিকম্প বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরে ওষুধ বা ব্যাটারীর মতো ত্রাণসামগ্রী পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হতে পারে। ‘এগুলির মাত্র কয়েকটি যান জরুরী অবস্থায় আটকে থাকা বিপুল সংখ্যক মানুষকে প্রায় ক্রমাগত সেবা দিতে সক্ষম।’- কথাটা বলছিলেন অ্যাস্ট্রো টেলার, যিনি মুনসট-এর ক্যাপ্টেন। আর গুগল এক্স-এর বড় বড় চিন্তাগুলি মুনসট প্রকল্পের অধীনেই বাস্তবায়িত হয়ে থাকে।

আমেরিকাতে প্রজেক্ট উইং-এর পরীক্ষা সম্পন্ন করার অনুমতি নাই। তাই ড্রোনের পরীক্ষাটি চালানো হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে। পরীক্ষায় পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে প্যাকেট নিয়ে ড্রোন সফল ভাবে বেশ দূরবর্তী অঞ্চলে তা পৌঁছাতে পেরেছে। গুগলের ভাষ্যমতে অস্ট্রেলিয়াতে এ পরীক্ষাটি চালানো হয়েছে কারণ দেশটিতে ‘অগ্রসর’ নীতিমালা কার্যকর আছে। বাস্তবে অন্যান্য দেশে এ ধরণের পরীক্ষা চালানোর ক্ষেত্রে যথেষ্ট কঠোর আইন অনুসরণ করা হয়ে থাকে।

প্রোজেক্ট উইং-এর এই বায়ূযানে আছে প্রায় ১.৫ মিটার (৪.৯ ফুট) ডানা এবং ৪টি বিদ্যুৎচালিত প্রপেলার। সরবরাহ করার প্যাকেটের ওজনসহ এর মোট ওজন ১০ কেজি। আর শুধুমাত্র যানটির ওজন সাড়ে আট কেজি। এই ছোট্ট চকটকে যন্ত্রটির পাখাগুলি এর দেহের সাথে স্থির করে লাগানো। এর নক্শা এমন ভাবে করা হয়েছে যে, পুরো যানটি নিজেকে শূন্যে তুলে নেয়। যন্ত্রটির নাম দেয়া হয়েছে, ‘টেইল সিটার’ কারণ এটি প্রপেলারগুলির উপর ভর দিয়ে মাটিতে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে কিন্তু ওড়ার সময় দিক বদলে আনুভূমিকভাবে সামনে আগায়।
share on