থ্রিজি ব্যব‌হারকারীর সংখ্যা অর্ধকোটিতে উন্নীত

Tuesday, August 19 2014 সম্প্রতি বিটিআরসি বিভিন্ন অপারেটরের থ্রিজি সেবা গ্রহণকারী গ্রাহকের সংখ্যা ও তাদের নেটওয়ার্কের মান পর্যালোচনা করে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছে। প্রতিবেদন অনুসারে বাংলাদেশের মোবাইলফোন গ্রাহকদের মধ্যে শতকরা মাত্র ৪.১৫ ভাগ(আটচল্লিশ লক্ষের অধিক) তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল ব্রডব্যান্ড সেবা ব্যবহার করছেন। দেশে সক্রিয় সিম কার্ডের সংখ্যা ১১ কোটি ৬৮ লাখ।



বিটিআরসির দেয়া তথ্য অনুযায়ী থ্রিজি গ্রাহকসংখ্যার দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারী অপারেটর গ্রামীণফোনকে পিছনে ফেলে প্রথম স্থানটি অধিকার করেছে তৃতীয় বৃহত্তম অপারেটর রবি। সক্রিয় সিমের সংখ্যা বিবেচনায় রবি’র আছে সর্বাধিক সংখ্যক থ্রিজি সংযোগ ব্যবহারকারী গ্রাহক। জুলাই ২০১৪ পর্যন্ত রবি’র ১৩.০৫ লাখ গ্রাহক থ্রিজি ব্যবহার করছেন। ২২টি জেলায় তাদের ৩.৫ জি পর্যায়ের নেটওয়ার্ক আছে বলে দাবী অপারেটরটির। শুধুমাত্র বেশি স্পীডের নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করা নয় কিন্তু গ্রাহককে সর্বোচ্চ সেবা প্রদানই এ প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য। মূল্য সাধ্যসীমার মধ্যে থাকা ও অফারকৃত ক্ষুদ্র প্ল্যানগুলি নিজেদের প্রয়োজনের সাথে মিলে যাওয়ার কারণেই অধিক সংখ্যক গ্রাহক ররি’র এই সেবা গ্রহণ করছেন বলে মনে করেন এর মুখপাত্র। যদিও গ্রামীনফোনের সক্রিয় গ্রাহকের সংখ্যা ৫ কোটিরও বেশি তবে তারা মাত্র ১২ লাখ ৮৭ হাজার গ্রাহককে থ্রিজি সেবা গ্রহণে আগ্রহী করতে পেরেছে। শতকরা হিসেবে যা তাদের মোট গ্রাহক সংখ্যার মাত্র ২.৬ ভাগ। তবে এই অপারেটরটি দাবী করছে যে, বিটিআরসি গত জুলাই মাসের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন দিয়েছে কিন্তু বর্তমানে তাদের থ্রিজি গ্রাহক সংখ্যা ১ কোটি ২৮ লাখ যা দেশের অন্য সব অপারেটরদের চেয়ে অনেক বেশি। উল্লেখ্য, গত মার্চ মাস থেকে গ্রামীনফোন গ্রাহকদের ৬৪ জেলায় ৩.৯জি সেবা গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে বলে তাদের দাবী, যদিও আরো বেশি সংখ্যক গ্রাহককে থ্রিজি সেবাতে আকৃষ্ট করতে না পারায় তাদের মধ্যে অসন্তোষ আছে।

অন্যদিকে সরকারী অপারেটর টেলিটক-এর সক্রিয় গ্রাহকের সংখ্যা ৩৬.৬৯ লাখ। তাদের ২৮.৪৫% অর্থাৎ ১০.৪৪লাখ গ্রাহক থ্রিজি সেবা গ্রহণ করছেন বলে বিটিআরসি জানিয়েছে। শুরুতে তাদের মোডেমের দাম অত্যধিক হওয়ায় তারা অধিক সংখ্যক গ্রাহককে আকৃষ্ট করতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে গত দু’বছরে মোডেমের দাম ক্রমান্বয়ে কমে আসায় এর গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন এর প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান। বাংলালিংক-এর ২ কোটি ৯৮ লাখ গ্রাহকের মধ্যে ৬ লাখ ৬৯হাজার থ্রিজি সেবা নিয়েছেন, যদিও তাদের ১ কোটি ১২ লাখ গ্রাহক মোবাইল ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছেন। এয়ারটেল তার ৮৩ লাখ ৫২ হাজার গ্রাহকের মধ্যে ৫ লাখ ৩৯ হাজার গ্রাহককে থ্রিজি সেবা গ্রহণে আকৃষ্ট করতে পেরেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৩ এর সেপ্টেম্বরে গ্রামীনফোন থ্রিজি সেবা প্রদানের জন্যে সরকারের কাছ থেকে নিলামে শতকরা ৫ ভাগ ভ্যাটসহ ২১০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে ২১০০ ব্যান্ডের ১০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম কিনেছে। রবি, বাংলালিংক ও এয়ারটেল ১০৫ মিলিয়ন ডলারে কিনেছে ৫ মেগাহার্টজ প্রত্যেকে। সরকার পূর্বেই একটি নিলামে টেলিটকের জন্যে একই ব্যান্ডের ১০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম নির্ধারণ করেছে।
share on