প্রথম প্রান্তিকে অ্যাপেলের দ্বিগুন স্মার্টফোন বাজারজাত করেছে স্যামসাং

শুক্রবার, এপ্রিল 22 2016 সারা পৃথিবীতে স্মার্টফোন গ্রাহকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সুযোগ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে কারণ প্রায় প্রত্যেক ফোন ব্যবহারকারীর হাতেই এখন স্মার্টফোন পৌঁছে গেছে। বিশ্বজুড়ে এক বছর আগের তুলনায় ১.৩% এবং গত প্রান্তিকের তুলনায় এ প্রান্তিকে ১৮.৬% অর্থাৎ মোট ২৯২ মিলিয়ন ফোন বিক্রি কমে গেছে। এ তথ্য জানিয়েছে বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ট্রেন্ডফোর্স।

প্রথম প্রান্তিকে অ্যাপেলের দ্বিগুন স্মার্টফোন বাজারজাত করেছে স্যামসাং
প্রথম প্রান্তিকে অ্যাপেলের দ্বিগুন স্মার্টফোন বাজারজাত করেছে স্যামসাং


গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে নেতৃত্ব দেয়া প্রতিষ্ঠান স্যামসাং-এর শেয়ার ৫.৭% বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি বাজারজাত করেছে ৮১ মিলিয়ন ফোন। প্রকৃত পক্ষে বছরের শেষ প্রান্তিকে বিশেষ ছুটির সময়টিতে বিক্রির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

গ্যালাক্সি এস৭ ও গ্যালাক্সি এস৭ এজ- এ ফোন দু’টি আগের ফ্ল্যাগশীপ ফোনের চেয়ে বেশি বিক্রিতে সহায়তা করেছে। চীন সহ সারা পৃথিবীতে স্যামসাং এর সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকা জে সিরিজের ফোনগুলি তাদের বিক্রি বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছে। ট্রেন্ডফোর্সের মতে স্যামসাং এর বিক্রয়ের পরিমাণ ক্রমাগত বাড়তে থাকবে।

হুয়েই চীনে সবচেয়ে বেশি ফোন বিক্রি করতে সমর্থ হয়েছে
হুয়েই চীনে সবচেয়ে বেশি ফোন বিক্রি করতে সমর্থ হয়েছে


অন্যদিকে স্যামসাং এর বড় প্রতিদ্বন্দ্বি অ্যাপেলের বিক্রি কমে গেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছর তাদের বিক্রি কমেছে প্রায় ৬.৫%। অবশ্য মনে রাখা দরকার যে, এই প্রান্তিকটি তাদের আইফোন এসই অবমুক্ত হওয়ার আগের প্রান্তিক।

অর্থাৎ এই প্রান্তিকে অ্যাপেল স্যামসাং এর অর্ধেক স্মার্টফোন বাজারজাত করতে পেরেছে। আশা করা যায় আইফোন এসই তাদের বিক্রির পরিমাণকে বাড়িয়ে দেবে যতোদিন না পরবর্তী ফোন আইফোন ৭ বাজারে আসে।

এলজি’র সৃজনশীল উৎপাদনও তাদের খুব বেশি সুফল দিতে পারেনি। এ কোম্পানিটি গত বছরের একই সময়ে তুলনায় কিছুটা বেশি বিক্রি করলেও গত প্রান্তিকের তুলনায় তাদের বিক্রির পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। বিশ্বে তাদের অবস্থান বর্তমান ৬ষ্ঠ।

চীনের কোম্পানিগুলি যৌথ ভাবে ভালো পরিমাণ সেট বিক্রি করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের সম্মিলিত বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা চীনে যতোগুলি ফোন বিক্রি করেছে তার সংখ্যা স্যামসাং ও অ্যাপেলের মোট সংখ্যাকে প্রথম বারের মতো ছাড়িয়ে গেছে।

চীনে ৪জি ফোনের চাহিদা বেড়েছে আর ইন্ডিয়ায় বেড়ে চলেছে স্মার্টফোন বিক্রির পরিমাণ। তা সত্ত্বেও এখানে গত বছরের ৪র্থ প্রান্তিকের চেয়ে ২৭ হাজার ফোন কম বিক্রি হয়েছে।

হুয়েই চীনে সবচেয়ে বেশি ফোন বিক্রি করতে সমর্থ হয়েছে। অন্যদিকে বিশ্বে তারা ফোন বিক্রিতে ৩য় স্থানে আছে। তবে ট্রেন্ডফোর্স মনে করে না যে, হুয়েই অ্যাপেলের জায়গাকে দখল করে নিতে সক্ষম হবে।

লিনোভো ১৭ মিলিয়ন ফোন বিক্রি করে শীওমীকে পিছনে ফেলতে পেরেছে কারণ শীওমীর বিক্রি পরিমাণ ছিল ১৬ মিলিয়ন। লিনোভো তাদের উৎপাদিত ফোনের শতকরা ৮০ ভাগ রপ্তানি করে থাকে।

টিসিএল যা অ্যালকাটেল নামেও সুপরিচিত তারা তালিকার ৪র্থ স্থানে আছে। অপ্পো ও ভাইভো যৌথভাবে চীনের স্মার্টফোনের বাজারের শতকরা ২০ ভাগ দখল করে রেখেছে। লিনোভোর তুলনায় ভাইভো খুব কম ফোন বিদেশে রপ্তানি করে থাকে। তারা মাত্র ১০% ফোন রপ্তানি করে।
share on