অবশেষে জিওনী বাংলাদেশে

সোমবার, এপ্রিল 20 2015
আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে জিওনীর যাত্রা শুরু
আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে জিওনীর যাত্রা শুরু


‘সততা, সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সৃজনশীল উদ্ভাবন’ এই মন্ত্রকে হৃদয়ে ধারণ করে ২০০২ এর সেপ্টেম্বরে যাত্রা শুরু হয়েছিল জিওনী কমিউনিকেশন ইকুইপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড নামের এই চাইনিজ প্রতিষ্ঠানটির। সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে জিওনী এখন বিশ্বের সেরা ১০টি মোবাইল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের একটি। ২০০৬ এ ৫০০ একর জায়গার উপরে স্থাপিত জিওনী ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে ১ বিলিয়ন আরএমবি বিনিয়োগের মধ্য দিয়ে জিওনী’র পথচলার সূচনা হয়েছিল। বর্তমানে তাদের আরএন্ডডি সেন্টারগুলো আছে সেনঝেন, সাংহাই, হ্যাংঝু সহ আরো কিছু স্থানে। তারা এখন বছরে ৪০ মিলিয়ন ইউনিট উৎপাদন করছে। অবশ্য এখনো তাদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরির কাজ শেষ হয় নি। পার্কটির সম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন হলে প্রতিষ্ঠানটি আশা করছে তাদের বার্ষিক উৎপাদন বেড়ে হবে ৮০ মিলিয়ন। আর তখন জিওনীই হবে চীনের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান।

যাহোক, জিওনীর সার্বিক মার্কেট শেয়ারের পরিমাণ ৭.২% এবং জিএসএম মার্কেট শেয়ার ১১.২%। এ হিসেব মতো এই কোম্পানিটি বিশ্বের ৩য় স্থানে আর চীনের স্থানীয় বাজারে ১ম স্থানে আছে।

এ প্রতিষ্ঠানটির কৌশলগত লক্ষ্য হচ্ছে সারা পৃথিবীতে মোবাইল যোগাযোগের যন্ত্রপাতি সরবরাহ ও মোবাইল তথ্য সেবা প্রদান এবং বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ব্র্যান্ডে পরিণত হওয়া। তারা বিশ্বাস করেন যে, তাদের পণ্য জটিল মোবাইল প্রযুক্তিকে ব্যবহারকারীর কাছে সহজ সরল করে পৌঁছে দিতে সক্ষম হবে। তা যেমন হবে ব্যবহার-বান্ধব, স্টাইলিশ এবং পকেটে রাখার জন্যে সুবিধাজনক।

গত ২০১১ সাল থেকে জিওনী ব্র্যান্ডটি ইন্ডিয়া, নাইজেরিয়া, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইনসহ আরো বেশি কিছু দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। পৃথিবীর ৪০টির বেশি দেশে এখন এই ফোন পাওয়া যাচ্ছে। তারা প্রতি মাসে বিশ্ববাজারে ১ মিলিয়নের মতো ফোন রপ্তানি করছে।

বিশ্বজয় করা প্রতিষ্ঠান জিওনীর সাথে যে বাংলাদেশীদের কোন সম্পর্ক নেই তা কিন্তু নয়। ওয়ালটনের মতো আরো কিছু দেশী কোম্পানি ইতোমধ্যেই জিওনীর ফোন রি-ব্র্যান্ড করে এখানের গ্রাহকের হাতে তুলে দিয়েছে যেমন, ওয়ালটনের প্রিমো জেডএক্স এবং ওয়ালটনের প্রিমো এক্সথ্রি

তবে এবার জিওনী কমিউনিকেশন ইকুইপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড নিজেরাই বাংলাদেশে সরাসরি ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ১৯ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে এই কোম্পানি বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদের ব্যবসা কার্যক্রম শুরু করেছে। বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জিওনী গ্রুপ এর সেলস ডিরেক্টর মিস্টার ফ্রাংক, জিওনী গ্রুপ এর প্রোডাক্ট স্পেশালিষ্ট মিস্টার ইয়ান ডান, অনটেল বাংলাদেশ এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর মিস্টার কামরুল হাসান চৌধুরী এবং এস এস ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড ইন্টারলিঙ্ক কমিউনিকেশন এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর মিস্টার আশরাফুজ্জমান তমাল। একই দিনে বাজারে এসেছে জিওনী ইলাইফ এস সেভেন

অতীতে বাংলাদেশী কোম্পানি জিওনীর পণ্য রি-ব্র্যান্ডিং করে অনেক ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছে। এবার দেখার পালা জিওনী নিজে কতটা পৌঁছাতে পারে এ দেশের জনগণের কাছে, বাংলাদেশীরা কিভাবে গ্রহন করে জিওনীকে।
share on